(ফয়জুল ইসলাম আরিফ)
গাজীপুরের গাছা মেট্রো থানার অপহরণ মামলার ভিত্তিতে অপহৃত তিন শিশু ও দুই কিশোরি ভিকটিমকে চট্রগ্রামের শীতাকুণ্ড থানা পুলিশের সহায়তায় ফৌজদারহাট এলাকার মনিরের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে গাছা থানা পুলিশের একটি দল।
উদ্ধারকৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জের টঙ্গীপাড়ার মনির ও আসমা দম্পতির ছেলে, মোঃ আল আমিন (১২), একই থানার শুভ ও নাসিমা দম্পতির ছেলে মোঃ নাঈম (১২), গাজীপুর কলমেশ্বরের হান্নান ও মিলন দম্পতির ছেলে ইয়াসিন (১১), এছারা উদ্ধারকৃত কিশোরিরা হলেন খুশি আক্তার (১১) ও মোছাঃ শান্তা আক্তার (১০)। পুলিশ জানায় উদ্ধারকৃতরা চট্রগ্রামের ফৌজদারহাট রেলবস্তি এলাকার একটি কক্ষে আবদ্ধ অবস্থায় ছিলো।
শনিবার (৫এপ্রিল) তিন আসামীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত অপর আরো ২কিশোরিসহ ৫জন ভিকটিমকে উদ্ধার করে গাছা থানা পুলিশের সদস্যরা। এসময় ঘটনায় জড়িত এজাহারভূক্ত সর্বমোট ৫জন আসামীদেরও গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
আসামীরা হলেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ার তিন সহোদর ভাই আলী আকবরের ছেলে আমির হোসেন (২৬), মনির হোসেন (২৮) ও আশিক (২৩), খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার মৃত শুক্কুর মুন্সির মেয়ে হালিমা খাতুন (৩০), ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানার ইউনুস আলীর স্ত্রী মেরিনা খাতুন (৫৫)।
এর আগে গত বৃহস্পগতিবার (৩এপ্রিল) গাজীপুরের কলমেশ্বর এলাকা থেকে পূর্বশত্রুতার জেরে অপহরণ করা হয় উদ্ধারকৃত ৫ ভিকটিমদের। পরের দিন শুক্রবার (৪এপ্রিল) অপহৃত ভিকটিমদের পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের হয়। দায়েরকৃত মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদে অপহৃতদের উদ্ধার ও আসামী গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে গাছা মেট্রো থানা পুলিশের অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আলী মোহাম্মদ রাশেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গাছা থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসানের পরিকল্পনায় থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ও কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে এএসআই ইব্রাহিম হোসেন, কনস্টেবল নাসির উদ্দিন, সাদ্দাম হোসেন ও নারী কনস্টেবল হালিমা খাতুনসহ পুলিশের একটি দল চট্রগ্রাম থেকে এ মামলার ৫আসামীদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় অপহৃত ৩ছেলে শিশু ও ২ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। আসামীদের রবিবার (৬এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply