1. admin@ovijogsomoy.com : admin :
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন, উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

  • Update Time : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৭৬ Time View

(হাসান ইকবাল রুমেল)

 

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন, উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দীন খান।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর মাননীয় উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, জালিয়াতি ও প্রতারণার নির্বাচন, বিরোধী মত দমন, সীমাহীন দুর্নীতি, রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে ধ্বংস, মাত্রাতিরিক্ত পুলিশ ও আমলা নির্ভরতার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার অনুষ্ঠিত সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আরো বলেন, জুলাই বিপ্লবের আজ স্বপ্ন দেখছে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার, যে দায়িত্ব শিক্ষার্থীদেরকেই নিতে হবে।। পর সমগ্র জাতি

তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা ঘুমগ্রিকভাবেই একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলাদলি, পারস্পরিক সহনশীলতার অভার, লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির অপসংস্কৃতি ও অপতৎপরতা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ নেয়া জরুরী। অনিয়মিত হলেও গণ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের সেই সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য করেছে। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন দূরদর্শী এবং স্বপ্নদ্রষ্টা। যেখানেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্পর্শ পেয়েছে সেখানেই নতুনের জন্ম হয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রীপ্রাপ্তরা দেশ সমাজ ও রাষ্ট্রের সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সমাবর্তন বক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ আবুল কাসেম চৌধুরী বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা দেখেই বুঝা যাচ্ছে আমরা কোথায় আছি। আমরা ভালো মানুষ হতে পারিনি। ভালো মানুষ তৈরি করার জন্যই আমাদের এই গণ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে এদেশে স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নের জন্য একটি বীজ বপণ করেছিলেন। সেই বীজ থেকে শাখা-প্রশাখাসহ বিরাট এক বৃক্ষে পরিণত হয়েছে- গণ বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস, গণপ্রকাশনী, গণমুদ্রণ, নারীকেন্দ্র ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ।

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজিমউদ্দীন খান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ হলেও, এই শেষ থেকেই আপনাদের নতুন জীবন শুরু হবে। শিক্ষা জীবনে অর্জিত জ্ঞান এখন বাস্তব কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। যদিও শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জনের কোন নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই, তাই জীবনভর তা অর্জনের মাধ্যমে আরো বড় সাফল্য অর্জন করতে হবে।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যার্থীর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলাম এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোঃ সিরাজুল ইসলাম। গণ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও শিক্ষকগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এ বারের সমাবর্তনে ৭৭২৭জন গ্রাজুয়েট ডিগ্রীপ্রাপ্ত হন এবং ২৪৭৮ জন রেজিস্ট্রার্ড গ্রাজুয়েট সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023 দৈনিক অভিযোগ সময়
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: CloudVai-ক্লাউড ভাই