(প্রথম পর্ব)
অনুসন্ধানী প্রতিবেদকঃ
ঢাকা জেলা সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়ন৬ নং ওয়ার্ডের পুকুর পাড় এলাকায় প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে ভেজাল আয়ুর্বেদিক ঔষধ ব্যবসা, রেজিয়া আয়ুর্বেদিক ঔষধালয় দোকানে কবিরাজ রবিউল ইসলামের আয়ুর্বেদিক নামে চলছে রমরমা নকল ব্যবসা।
তার বাড়িতে বিভিন্ন গাছগাছাড় ছাল পানিতে ডুবিয়ে গরম করে বিভিন্ন রং মিশিয়ে বোতল প্যাকিং করে হয়ে যাছে নামিদামি আয়ুর্বেদিক পুষ্টিকর ফাইল এই ঔষধ, সেবন করার পর মানুষের দেহে কতটুকু সাস্থ্য সম্মত দেখার কেউ নাই, মানুষ সুস্থ থাকবে তার এই বিষয়ে কোন ধারণা নাই। অনেক গার্মেন্টস কর্মীরা তার প্রতারণা ফাদে পড়ে ধুকে ধুকে মরতে বসেছে। প্রশাসন এই বিষয়ে কেনই নিরব আছে তা এই বিষয়ে জনগণের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সুধু তাই নয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে একাধিক বার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্র বলছে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা
কবিরাজ রবিউল ইসলাম তার সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি গ্যাস্ট্রিক আলসার পুরাতন আমাশা নাকের পলিপাস হাঁপানি এলার্জি মানসিক পাগল নারী পুরুষের যৌন রোগ যৌন দুর্বলতা দ্রুত বীর্যপাত স্বপ্নদোষ গণরিয়া ডায়াবেটিস জরায়ু দোষ বন্ধাও বাচ্চা না হওয়া পাইলস অনিয়মিত নাক কান গলা রোগ মেদভূড়ি ও হাড়ভাঙা সহ সকল প্রকার চিকিৎসা করি কবিরাজ রবিউলের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বিষয়ে তার সরকারি কোন ডিগ্রি আছে কি না জান্তে চাইলে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।
তবে সরেজমিনে তথ্য অনুসন্ধানে দেখা জায় তার কোনো সরকারি কাগজপত্র এবং চিকিৎসা বিষয়ে কোন যোগ্যতা নেই জান্নাতুল ফেরদৌস
নামে এক ভদ্র মহিলা বলেন আমি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছি তার পর দিনাজপুর ঔষধালয় গিয়ে ডাঃ রবিউল ইসলামের কাছে গিয়ে বললাম যে ভাই দেখেন তো আমার কি হয়েছে পেট ফুলে যাচ্ছে উনি বললেন আপনার টেস্ট করতে হবে তারপর উনি একটা মেশিন দিয়ে আমার সব জায়গায় চেক করে বলেন আপনার কিডনি ডেমেজ হয়ে গেছে এবং আপনার বাচ্চাও হবে না একথা বলে তখন আমি বললাম তাহলে উপায় কি তখন ওই ভুয়া কবিরাজ রবিউল ইসলাম বললেন আপনাকে এক বছর ঔষধ খেতে হবে আমি বললাম ঠিক আছে খাবো ইনশাআল্লাহ।
কবিরাজ রবিউল ইসলাম আমার কাছ থেকে ১২০০০ হাজার টাকা চাইলো পরে আমি ধার করে ৫০০০ হাজার টাকা দিলাম দেওয়ার তিন মাস পার হয়ে যায় আমার শরীরটা আরো বেশি খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমি আবার রবিউল ইসলামের কাছে যাই এবং আমাকে মেশিন দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় চেক করে বলেন পিক্সেশন করে দেই আস্তে আস্তে ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে পরে আবার ১২০০০ হাজার টাকার ওষুধ লেখে দিলো আমি আমার বাসার পাশে এক ডাক্তারের কাছে গিয়ে পিক্সেশন দেখাইয়া ওষুধ চাইলে ডাঃ বলে এটা কিসের পিক্সেশন আমি লেখা বুঝতে পারতেছি না তাই আমার সন্দেহ হলো যে ভুয়া এই কবিরাজ রবিউল ইসলাম কে,
তবে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক হারবাল ইত্যাদি নাম দিয়ে আসছে, রবিউলের প্রতারণা থেকে এলাকার সহজ সরল মানুষকে রক্ষা করতেই অভিযান পরিচালনা করলেই তার প্রতারণার থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগীরা আরো বলেন ভন্ড ও ভুয়া কবিরাজ রবিউলের হাত থেকে সহজ সরল মানুষ গুলো রক্ষা পাবে কি?
যার কারণে আমরা এলাকার মানুষ,
সাংবাদিকদের স্বর্ণপর্ণ হলাম পড়ে সাংবাদিক ঘটনা স্থানে সরে জমিনে তদন্ত করে দেখে ভুয়া ডাঃ রবিউল ইসলাম এর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কখনো ডাঃ কখনো সে জিনের বাদশা সাজিয়ে সাধারণ অসহায় মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সাংবাদিকরা কাগজপত্র দেখতে চাইলে ভুয়া ডাঃ রবিউল ইসলাম বলেন আমি ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া কাউকে কাগজপত্র দেখাবো না তাই এলাকাবাসীর অভিযোগ যে এই ভুয়া ডাক্তারের কাগজপত্র সঠিক আছে কিনা তদন্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তবে আগামী পর্বে পযর্ন্ত চোখ রাখুন রেজিয়া আয়ুর্বেদিক ঔষধলয় দোকানের ভেজাল মিশ্রিত তথ্য ও তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ করা হবে।
Leave a Reply