(নিজস্ব প্রতিবেদক)
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় থাকেন নাহার বেগম। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খুলনার ফুলতলীর গ্রামের বাড়ি যাবেন আগামী ৮ এপ্রিল। এই তারিখের অগ্রিম টিকিটের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইগল পরিবহনের বাস কাউন্টারের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন তাঁকে জানানো হয়, টিকিটের দাম ৮০০ টাকা।
আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের ইগল পরিবহনের কাউন্টারে যান গৃহিণী নাহার বেগম। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হয়, টিকিটের দাম এক হাজার টাকা। পরে তিনি কম টাকায় দিগন্ত পরিবহনের বাসের অগ্রিম টিকিট কাটেন।
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে গাবতলীতে দিগন্ত পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কথা হয় নাহার বেগমের সঙ্গে। ইগল পরিবহনের টিকিটের দাম অতিরিক্ত চাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ওদের কাউন্টারের গিয়ে বললাম, মোবাইলে তো ৮০০ টাকা বললেন, এখন কেন ১০০০ টাকা চাইছেন? কাউন্টারের লোক আমাকে বলল ১০০০ হাজার টাকার কম হবে না। এই টাকায় হলে নেন। না হলে পরে এই টাকায়ও কোনো টিকিট পাবেন না।’
নাহার বেগম আগামী ৮ এপ্রিল যাত্রার জন্য দিগন্ত পরিবহনের বিকেল পাঁচটার একটি বাসের তিনটি টিকিট কেটেছেন। তিনটি টিকিটের জন্য তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রতিটি টিকিটের দাম পড়েছে ৮০০ টাকা করে।
নাহার বেগম বলেন, সাধারণ সময় এই গন্তব্যে টিকিটের দাম রাখা হয় ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু ঈদযাত্রার জন্য ৮০০ টাকা করে রাখা হয়েছে। বেশি ভাড়া রাখার বিষয়ে কাউন্টারের লোকেরা বলছেন, ঈদে ঢাকার বাইরে থেকে খালি বাস নিয়ে ফিরতে হয়।
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার। গাবতলী, ঢাকা, ২৯ মার্চ
রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার। গাবতলী, ঢাকা, ২৯ মার্চছবি: ড্রিঞ্জা চাম্বুগং
রাজধানীর মিরপুর এলাকায় থাকেন নাহার বেগম। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খুলনার ফুলতলীর গ্রামের বাড়ি যাবেন আগামী ৮ এপ্রিল। এই তারিখের অগ্রিম টিকিটের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইগল পরিবহনের বাস কাউন্টারের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করেন তিনি। তখন তাঁকে জানানো হয়, টিকিটের দাম ৮০০ টাকা।
আজ শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের ইগল পরিবহনের কাউন্টারে যান গৃহিণী নাহার বেগম। কিন্তু কাউন্টার থেকে বলা হয়, টিকিটের দাম এক হাজার টাকা। পরে তিনি কম টাকায় দিগন্ত পরিবহনের বাসের অগ্রিম টিকিট কাটেন।
আজ সকাল পৌনে ১০টার দিকে গাবতলীতে দিগন্ত পরিবহনের কাউন্টারের সামনে কথা হয় নাহার বেগমের সঙ্গে। ইগল পরিবহনের টিকিটের দাম অতিরিক্ত চাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ওদের কাউন্টারের গিয়ে বললাম, মোবাইলে তো ৮০০ টাকা বললেন, এখন কেন ১০০০ টাকা চাইছেন? কাউন্টারের লোক আমাকে বলল ১০০০ হাজার টাকার কম হবে না। এই টাকায় হলে নেন। না হলে পরে এই টাকায়ও কোনো টিকিট পাবেন না।’
নাহার বেগম আগামী ৮ এপ্রিল যাত্রার জন্য দিগন্ত পরিবহনের বিকেল পাঁচটার একটি বাসের তিনটি টিকিট কেটেছেন। তিনটি টিকিটের জন্য তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা রাখা হয়েছে। প্রতিটি টিকিটের দাম পড়েছে ৮০০ টাকা করে।
নাহার বেগম বলেন, সাধারণ সময় এই গন্তব্যে টিকিটের দাম রাখা হয় ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। কিন্তু ঈদযাত্রার জন্য ৮০০ টাকা করে রাখা হয়েছে। বেশি ভাড়া রাখার বিষয়ে কাউন্টারের লোকেরা বলছেন, ঈদে ঢাকার বাইরে থেকে খালি বাস নিয়ে ফিরতে হয়।
নাহার বেগমের অভিযোগের বিষয়ে গাবতলী টার্মিনালের ঈগল পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার সোহেল মিয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নারী টিকিটের জন্য আসেননি। তবে গাবতলীতে আমাদের বাস কোম্পানির আরেকটি টিকিট বিক্রির কাউন্টার আছে। সেখানে কেউ বেশি চেয়ে থাকতে পারেন।’
বেশি ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে দাবি করেন সোহেল মিয়া। তিনি বলেন, ‘গাবতলী থেকে খুলনার দূরত্ব ২৯২ কিলোমিটার। বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া ৮১৩ টাকা। সেখানে আমরা ৮০০ টাকা করে খুলনার টিকিট বিক্রি করছি।’
আজ সকাল ৯টার দিকে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে গত কয়েক দিনের তুলনায় যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি দেখা গেছে।
Leave a Reply