(মোঃ মুনসুর আলী)
র্যাব-৪ খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মত ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূল ও রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করার জন্য র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫ মার্চ ২০২৪ তারিখ র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার ধামরাই থানাধীন কালামপুর ও সাভার মডেল থানাধীন আনন্দপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সাভারে চাঞ্চল্যকর কাঠ মিস্ত্রী সোহেল মোল্লা (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী ও কিশোর গ্যাং লিডার মোঃ আল আমিন (১৯)’ জেলা-ঝালকাঠি ও তার সহযোগী সজিব হোসেন (২৩), জেলা-ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।
গত ১১ মার্চ ২০২৪ রাতে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন সাভার বাজার রোডস্থ একটি মার্কেটের পিছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় কাঠ মিস্ত্রি সোহেল মোল্লা (২৫)’কে হত্যার উদ্দেশ্যে কিছু দুর্বৃত্ত কিশোর গ্যাং সদস্য ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ভিকটিম সোহেলকে ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবকে অবহিত করলে র্যাব-৪ এর একটি অভিযানিক দল তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উক্ত হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়াতদন্ত শুরু করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথামিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত ইং ১১ মার্চ ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যার পর ভিকটিম সোহেল মোল্লা সাভার মডেল থানাধীন সাভার বাজার সংলগ্ন ফার্নিচারের দোকানে নকশার কাজ করতো। এসময় আসামী আল আমিনসহ অজ্ঞাতনামা ০২/০৩ জন দোকানে এসে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে ভিকটিম সোহেল মোল্লাকে উক্ত ফানিচারের দোকান হতে কৌশলে পাশেই একটি মার্কেটের পিছনে পরিত্যক্ত ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় এবং কথা বার্তার এক পর্যায়ে আসামী আল আমিন পূর্বের শত্রুতার জেরে পরিকল্পনা মোতাবেক তার পকেটে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে ভিকটিম সোহেল মোল্লার বুকের বাম পাশেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাথাড়ি আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল হতে দ্রুত পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আসামী আল আমিন উক্ত হত্যা কান্ডের ব্যবহৃত চাকুটি ধৃত আসামী সজিব হোসেন এর নিকট জমা রেখে বরিশাল, ঝালকাঠিসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply