ডেক্স রিপোর্টঃ
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ফেসবুক পোস্ট কেন্দ্র করে আলমগীর বেপারী (২৬) নামে এক যুবকের পেটে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে জোনাইল বাজার ব্রিজের ওপর এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী আলমগীরের পরিবার ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মূল ঘটনা ১৫ দিন আগের। উপজেলার তারতাপাড়া এলাকার লিটনের (১৭) ফেসবুকের পোষ্টে একটি স্টোরিতে হা হা রিয়েক্ট দেন ভুক্তভোগী আলমগীর বেপারী। নিয়ে আলমগীরকে অভিযুক্ত লিটন গালাগাল করে এবং তাকে জোনাইল বাজারে আসতে বলে।
পরে ভুক্তভোগী আলমগীর ও তার ছোট ভাই নাজমুল বেপারী লিটনের সাথে দেখা করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটি এলাকার মুরুব্বিগণ সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে দেন।
এঘটনার ১৪ দিন পর ২৯ জানুয়ারি আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রতিবেশী ইমরান বনভোজনের টাকা দেওয়ার কথা বলে আলমগীরকে অভিযুক্ত লিটন সহ সঙ্গে থাকা ৭/৮ জনের হাতে তুলে দেয়।
এ সময় আলমগীরকে অভিযুক্ত করে এলোপাতাড়ি মারধর করে। বিষয়টি ফোনের মাধ্যমে আলমগীর তার ছোট ভাই নাজমুলকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। এক পর্যায়ে আলমগীরের পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় তারা।
পরে নাজমুল ঘটনার আশপাশের লোকজনকে এনে তাকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যায়, ও খান হস্তান্তর করে আলমগীরকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আলমগীর কে জিজ্ঞেসাবাদ করলে বলে ১ নং আসামী তার গায়ে হাত দেয়নি বলে ঢাকা মেডিকেলে আহত আলমগীর এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে জবানবন্দি দেয়। এই মামলার ৬জন মুল আসামী এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জন দিয়ে এজাহার দায়ের করেন। তিন জন আসামী জামিন এ আছে। পাঁচ নং আসামী বলে আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না তারপর ও শত্রুতা করে আমাকে আসামী করে।
১নং আসামী অভিযোগ সময় কে বলে যখন এ ঘটনা ঘটে তখন আমি দোকানে ছিলাম, লিটন আমার দোকানে কাজ করে বিধায় আমাকে অভিযুক্ত করে। এবং জোনাইল বাজারের কিছু দোকানদার নাম বলতে অনিচ্ছুক,
সাক্ষাৎকার বলে ১/২/৫/ নাম্বার আসামীকে আমরা মারপিট করতে দেখিনাই এবং তারপর ও তারা আসামি। আমরা প্রশাসনের কাছে
দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি ১/২/৫ নং আসামীর ঘটনাটি সঠিক ভাবে পুনরায় তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হোক।
বাদী আলমগীরের ভিডিও ফুটেজ সংযুক্ত করে দেওয়া হলো।
Leave a Reply